সেনাবাহিনী বলছে, ১১ এপ্রিল নির্বাচনের দিন দেশের উত্তরাঞ্চলে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্ট তার সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় তিনি গুরুতর আহত হন। পরে রাজধানী এনজামিনা আনার পথে তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়, ১১ এপ্রিল দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণার এক দিন পরই তার মৃত্যুর খবরটি জানানো হয়।
এদিকে এরই মধ্যে দেশটির সরকার ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী ১৮ মাস সরকার পরিচালনা করবে প্রেসিডেন্ট ইদ্রিসের ৩৭ বছর বয়সী ছেলে কাকার নেতৃত্বে মিলিটারি কাউন্সিল।
প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর ফলে দেশজুড়ে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। এছাড়া দেশটির সীমানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আল জাজিরায় বলা হয়েছে, সামরিক কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা চাদের সংবিধানে নেই।
সংবিধানের যা বলা রয়েছে, তা হলো প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে বা তিনি মারা গেলে সংসদের স্পিকার ৪০ দিনের জন্য দেশের দায়িত্ব নেবেন।
চাদের সামরিক বাহিনীর একজন জেনারেল সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, শনিবার রাজধানীর এনজামিনা থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে কানেম প্রদেশে ৩শ'র বেশি বিদ্রোহীদের হত্যা করতে সক্ষম হয় দেশটির সেনারা। এছাড়া ১৫০ জনকে আটক করা হয়। অপরদিকে চাদের ৫ সেনা নিহত ও ৩৬ জন আহত হয়।