শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ক্যান্ডিতে দুইটি টেস্ট ভেন্যু। একটি আসগিরিয়া স্টেডিয়াম। আরেকটি পাল্লেকেলে ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ আসগারিয়ায় টেস্ট খেলেছিল। ওই বছরের পর আসগারিয়ায় কোনো টেস্ট ম্যাচ হয়নি। পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশের টেস্ট অভিষেক হলো। এখানে ২০১৩ সালে একটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলেছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ স্বাগতিক দলকে হারালেও টি-টোয়েন্টিতে পারেনি। বিশাল এ স্টেডিয়ামে সাত টেস্টে শ্রীলঙ্কার জয় মাত্র ১টিতে।
টেস্টে এখন পর্যন্ত লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় একটিই। ২০১৭ সালের সফরে প্রথম টেস্টে গলে হেরে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেদের শততম টেস্টে স্মরণীয় জয় পায় বাংলাদেশ। বাকি ১৯ টেস্টে ড্র ৩টি, শ্রীলঙ্কার জয় ১৬টিতে।
ক্যান্ডি টেস্টের আগে শেষ ১০ টেস্টে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ১টি। বাকি সবকটিতে হার। ঘরের মাঠে কিছুদিন আগেই হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় সারির দলের কাছে। নতুন সাফল্য না আসায় হারের ক্ষতগুলো এখনও শুকায়নি। দলকে সাফল্যে ভাসানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আতিথেয়তা নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে চাপহীন ক্রিকেট খেলার মন্ত্র বাংলাদেশের। দলীয় অধিনায়ক মাঠে নামার আগে বলেছেন, ‘আমরা কোনো চাপে নেই। আমরা এখানে ম্যাচ জেতার জন্য এসেছি। আমরা পুরোপুরি চেষ্টা করবো ম্যাচ জেতার জন্য।’