দীর্ঘ সংগীত জীবনে গুণী এ শিল্পী অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন, কখনো কণ্ঠে কখনো বা সুর দিয়ে। কখনো বাজিমাত করেছেন গান লিখে। নিজের গাওয়া গানগুলোর মধ্যে উল্লেখ করা যায় ‘এই নীল মনিহার’, ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘মামনিয়া’, ‘আগে যদি জানতাম’, ‘হৃদয় আমার’ গানগুলোর নাম।
অন্য শিল্পীর গান রচনা ও সংগীতায়োজন করেছেন ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ (কুমার বিশ্বজিৎ), ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’ (সামিনা চৌধুরী), ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ (হ্যাপী আখন্দ), ‘কে বাঁশি বাজায় রে’ (হ্যাপী আখন্দ), ‘কী করে বললে তুমি’, ‘লিখতে পারি না কোনো গান’, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’ প্রভৃতি।
লাকী আখন্দের জন্ম ১৯৫৬ সালের ১৮ জুন। ৫ বছর বয়সেই তিনি তার বাবার কাছ থেকে সংগীতে নিয়েছেন হাতেখড়ি। লাকী আখন্দ ১৯৬৩-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন এবং রেডিওতে শিশু শিল্পী হিসেবে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এইচএমভি পাকিস্তানের সুরকার এবং ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ভারতের সংগীত পরিচালক হিসেবে নিজের নাম যুক্ত করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক (সংগীত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
লাকি আখন্দের প্রথম সলো অ্যালবাম ‘লাকি আখন্দ’। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে এ অ্যালবাম প্রকাশ পায়। তিনি ব্যান্ড দল ‘হ্যাপি টাচ’ এর সদস্য। তার ভাই অকাল প্রয়াত হ্যাপি আখন্দ ছিলেন গানের আরেক বিস্ময় পুরুষ।
লাকী আখন্দ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন।