বিশেষজ্ঞদের মতে, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা হলে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক থাকে। সেই সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ঘুম ভালো হয়।
কীভাবে করবেন শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম চলুন এবার জেনে নেয়া যাক।
১. পিঠ সোজা করে পদ্মাসনে বসতে হবে। চোখ বন্ধ রেখে শরীরে বাতাস ঢোকার এবং বেরিয়ে যাওয়ার ওপরে মনোযোগ দিতে হবে। এ জন্য নাক দিয়ে গভীরভাবে শ্বাস নিন। সাধ্যমতো কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন। তারপর ধীরে ধীরে ছেড়ে দিন। পুরো পদ্ধতিটি সাত-আটবার করুন। খেয়াল রাখতে হবে, শ্বাস নেওয়ার সময়ে পেট যেন বাইরের দিকে ঠেলে ওঠে এবং শ্বাস ছাড়ার সময়ে পেট যেন ভেতরের দিকে ঢুকে যায়।
২. শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের জন্য পিঠের মেরুদণ্ড টানটান করে প্রথমে মুখ দিয়ে শ্বাস ছেড়ে ফুসফুসের সব বাতাস বার করে দিতে হবে। আবার গভীর শ্বাস নিয়ে যতটা সম্ভব ফুসফুসে বাতাস ভরে নিতে হবে। এরপর যতক্ষণ সম্ভব শ্বাস আটকে রাখুন। আবার সব বাতাস বের করে দিন। দিনে অন্তত দু’বার এটা করা যেতে পারে। এতে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। লম্বা শ্বাস নিয়ে কমপক্ষে ১০ সেকেন্ড ধরে রাখার চেষ্টা করুন। প্রথমেই ১০ সেকেন্ড সম্ভব না হলে সাধ্য অনুযায়ী ধীরে ধীরে ধরে রাখার সময় বাড়াতে হবে।
এ ছাড়া নিয়মিত এবং ঠিকমতো শারীরচর্চার মধ্য দিয়ে একজন মানুষ তার শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার পদ্ধতিকে সংশোধন করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রত্যেক দিন চার-পাঁচ মিনিট ধরে অ্যাবডোমিনাল ব্রিদিংয়ের অনুশীলন করলে তা সামগ্রিক শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে ফুসফুস এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে করোনা-পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামকে গুরুত্ব দিতেই হবে। বুক ভরে শ্বাস নিয়ে যতক্ষণ পারেন ধরে রেখে, পরে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে হবে। এর ফলে ফুসফুসের কোষগুলোর ব্যায়াম হবে। সেই সঙ্গে ভাইরাসজনিত কারণে সহজে এর ক্ষতি হওয়া রোধ হবে।