বুধবার (২১ বুধবার) ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল হেজি লেভি জানিয়েছেন, করোনার ভারতীয় ধরন রুখতে ফাইজারের ভ্যাকসিন কাজ করছে বলে তারা মনে করছেন।
তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, করোনার এই ধরনটি মোকাবিলায় ফাইজারের টিকার কার্যকারিতা খানিকটা হলেও হ্রাস পাচ্ছে। অবশ্য সরকারি ভাবে এখনও কিছু ঘোষণা করা হয়নি।
করোনার অতিসংক্রামক ব্রিটেন, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ধরণের পর বিশ্ব জুড়ে এখন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ভারতীয় ধরণ। ভারতে প্রথমে চিহ্নিত হওয়ায় এই করোনা ধরণ নিয়ে গবেষণা চলছে ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডেও।
অ্যাস্ট্রাজেনেকাসহ বেশ কিছু সংস্থার ভ্যাকসিন ভারতীয় স্ট্রেইনে খুব একটা কার্যকরী নয় বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তাই লেভির আশ্বাসে নতুন আশা দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলের ৯৩ লাখ মানুষের মধ্যে ৮১ শতাংশ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে। দেশটিতে সংক্রমণও বেশ নিয়ন্ত্রণেই। তবে পুরো বিশ্বের ছবি কিন্তু এক রকম নয়।
সোমবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রস আধানম ঘেব্রিয়েসুস বলেন, এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গত আট সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। শুধু গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে অর্ধকোটির বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন।
শেষ পাঁচ সপ্তাহ ধরে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। দুই ক্ষেত্রে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার উদ্বেগজনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, মহামারির শুরু থেকে প্রথম ৯ মাসে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পরের চার মাসে তা বেড়ে হয়েছে ২০ লাখ। তার তিন মাস পরে এখন মোট মৃতের সংখ্যা ৩০ লাখে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, প্রবীণদের ভ্যাকসিন পর্ব শেষ হয়ে গেছে বলে অনেক দেশই বিধি-নিষেধ আলগা করার কথা ভাবছে। কিন্তু এবার বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ২৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সীরা। কারণ তারা অনেক বেশি বাইরে বের হচ্ছে।