বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলন। সম্মেলনে অংশ নিতে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জো বাইডেন, যাদের মধ্যে শি চীনের প্রেসিডেন্ট আছেন। অন্যান্য বছর আমন্ত্রিত অতিথিরা সম্মেলনে সশরীরে উপস্থিত থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার ভার্চুয়ালভাবে অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মেলন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া শুনয়িং রয়টার্সকে বলেন, ‘ভিডিও কলের মাধ্যমে সম্মেলনে যুক্ত হবেন প্রেসিডেন্ট। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেবেন তিনি।’
গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ইস্যুতে বিতণ্ডায় জড়িয়েছে ওয়াশিংটন ও বেইজিং। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শাসনকালীন মেয়াদে চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান বৈরী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন; বর্তমানে তার উত্তরসূরী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেই নীতি থেকে সরে এসেছেন— এমন কোনো নজিরও দেখা যায়নি।
বিশ্ববাজারে আধিপত্য বাড়ানোর চেষ্টা, নিয়ম-নীতি না মেনে দক্ষিণ চীন সাগরে দখলদারিত্ব বাড়ানো, করোনাভাইরাসের উদ্ভব ও বিস্তার এবং শিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন ইস্যুতে বরাবরই চীনের কঠোর সমালোচনা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গতমাসে আলাস্কায় উভয় দেশের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা এক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন, কিন্তু সেই বৈঠকে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
গত শুক্রবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদা সুগার-জো বাইডেনের বৈঠকেও আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু ছিল চীন। সেই বৈঠকের প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে কটাক্ষ করে শি জিনপিং বলেছিলেন, বিশ্ব ন্যায্যতা চায়, আধিপত্য নয়।
তার একদিন পরই বাইডেনের জলবায়ু সম্মেলনের আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন জিনপিং।