প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে বিশ্বে মোট ৪৮৩টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটেছে। এসব মৃত্যুদণ্ডের ৮৮ শতাংশই কার্যকর হয়েছে ইরান, মিসর, ইরাক ও সৌদি আরবে। অর্থ্যাৎ ২০২০ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী শীর্ষ পাঁচটি দেশ হলো মধ্যে চারটিই মধ্যপ্রাচ্যের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটে। দেশটিতে প্রতি বছর হাজারো মানুষের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। তবে চীন মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা জনসম্মুখে প্রকাশ না করে রাষ্ট্রীয়ভাবে গোপন করে। এ কারণে দেশটিতে প্রতিবছর কতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় সেটি যাচাই করা কঠিন।
২০১৯ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ৫৭৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। এবার সে সংখ্যা কমে ৪৩৭ হয়েছে। ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটেছে ইরানে। গত বছর দেশটিতে ২৪৬টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটিতে এমন তিনটি মৃত্যদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ঘটেছে যেখানে দণ্ডপ্রাপ্তদের বয়স ১৮ বছরের কম ছিল। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
মিসরে গত বছর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার বেড়েছে তিনশ শতাংশ। ২০২০ সালে ১০৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে দেশটি। এর ফলে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তালিকায় ইরানের পরের অবস্থানে রয়েছে মিসর।
ইরাকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা ৫০ শতাংশ কমেছে। দেশটিতে গত বছর ৪৫টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সৌদি আরবে গত বছর ৮৫ শতাংশ কমেছে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার। মোট ২৭টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে দেশটিতে।
কাতার ২০ বছরের মধ্যে গত বছর প্রথম একটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় দেশটি ‘আশংকাজনকভাবে পিছিয়েছে’ বলে উল্লেখ করেছে অ্যামনেস্টি।