বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু এ ঘোষণা দেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতে, ক্রিমিয়া ও ইউক্রেনের সীমান্তে লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নিয়ে যায় রাশিয়া।
ক্রিমিয়ায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, মহড়া দেওয়া বেশ কিছু ইউনিট প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। তারা ঘাঁটিতে ফিরে যাবে। তাৎক্ষণিক মহড়ার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
সীমান্তে উত্তেজনা হ্রাসের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। এর আগে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন তিনি।
সের্গেই সোইগু বলেন, দেশকে রক্ষার সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে সেনাবাহিনী।
সামরিক বাহিনীর ৪১ ও ৫৮তম ইউনিটের কমান্ডারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে বেশ কয়েকটি হালকা পদাতিক বাহিনী তাদের স্থায়ী ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়া শুরু করবে। পহেলা মে তাদের এই অভিযান শেষ হবে।
রাশিয়ার সেনা মোতায়েনের বিষয়টি গত সপ্তাহে ইউরোপীয় নেতাদের বলেছেন জেলনস্কি। এ ঘটনায় ন্যাটোও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
যদিও ন্যাটোর হুমকিকে পাত্তা না দিয়ে এটিকে প্রশিক্ষণ মহড়া হিসেবে আখ্যায়িত করেছে মস্কো।