সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠকে বসে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
করোনা আতঙ্কের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ১০ টাকার শেয়ার ৫ টাকায় বিক্রি করে চলে যাচ্ছেন। তাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এজন্য ব্যাংকের সবাই আশস্ত করেছেন, তারা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবেন। পুঁজিবাজারের কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন আমরা সেই ব্যবস্থায় করছি।
এ সময় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘দেশের পুঁজিবাজার উঠতে ছিলো, হঠাৎ করে করোনাভাইরাস আসার পর ভয় পেয়ে অনেকে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন।
এখনই ওই ২০০ কোটি টাকা যেটা দেয়া হয়েছে সেখানে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মতো আছে। এখনই ওই টাকার সৎ ব্যবহার করা উচিত। প্রত্যেক ব্যাংক রাজি হয়ে গেছি, বাংলাদেশ ব্যাংক যে শর্তগুলো দিয়েছে, ওই শর্ত সাপেক্ষেই বুধবার থেকে আমরা শেয়ার কেনার জন্য বসব।
তিনি আরও বলেন, এখানে প্রায় ৫০ টার মতো ব্যাংক আছে। সবাই ২০০ কোটি টাকা করে একবারে কিনবে না। ক্রমান্বয়ে কিনবে। এটা মনিটরিং করা হবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে।
হঠাৎ একজন ২০ কোটি টাকার শেয়ার কিনবে এটা হবে না। ৫০০ বা ৬০০ কোটি টাকার বেশি যেন শেয়ার কেনা না হয়। কারণ হঠাৎ করে ১ হাজার কোটি টাকার শেয়ার কেনা হলো, পরের দিন ধস হয়ে গেল, এটা যেন না হয়।