এ পর্যন্ত প্রায় ৮০ লাখ মানুষ জনসনের টিকা নিয়েছেন। এদের মধ্যে রক্তজমাট সমস্যার শিকার হয়েছেন মাত্র ১৫ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের আগে ইউরোপের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাও জনসনের টিকার ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে।
চলতি মাসে ইউরোপীয় নীতিনির্ধারকরা অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার সঙ্গে জনসনের টিকায় রক্তজমাট সমস্যার মিল খুঁজে পান। তবে তাদের মতে, এর ঝুঁকির তুলনায় উপকার অনেক বেশি।
শুক্রবার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এবং খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) সিডিসির পরামর্শক প্যানেলের নির্দেশনা মেনে স্থগিতাদেশ তুলে নেয়। প্যানেলের সদস্যরা ১৮ বয়সোর্ধ্বদের জনসনের টিকা দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
এদিকে, শুক্রবার জনসনের টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে নয়জনের শরীরে রক্তজমাট বাধার প্রমাণ মিলেছে। এর আগে আরও ছয়জন একই সমস্যার শিকার হয়েছিলেন।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীদের মধ্যে সবাই নারী এবং তাদের বয়স ৫০ বছরের নিচে। এদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন, সাতজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে প্রায় এক ডজন নারীর বয়সই ৩০ থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে। সাতজন স্থূলকায় এবং দুইজনের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল।
সিডিসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কিছু পুরুষের মধ্যেও এ ধরনের রক্তজমাট সমস্যার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, জনসনের টিকা দেয়ার আগে নারীদের এর সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়টি জানানো জরুরি।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুর দিকে জনসনের টিকা নেয়ার পর কয়েকজন নারীর শরীরে রক্তজমাট সমস্যার খবরের প্রেক্ষিতে সেটির ব্যবহার স্থগিত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। করোনা মোকাবিলায় জনসনই প্রথম এক ডোজের টিকা ব্যবহার করছে।