করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারসের আজ রোববার (২৫ এপ্রিল) সকালের তথ্যমতে, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩১৩ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ সময় মারা গেছেন আরও ২ হাজার ৭৬১ জন।
এ নিয়ে ভারতে করোনার মোট সংক্রমণ ১ কোটি ৬৯ লাখ সাড়ে ৫১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৩১০ জন। করোনার বৈশ্বিক সংক্রমণে ভারতের অবস্থান দ্বিতীয় আর মৃত্যুতে চতুর্থ।
বর্তমানে ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে করোনা সংক্রমণে শীর্ষে আছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৭ হাজার ১৬০ জন। এই দিন রাজ্যটিতে করোনায় মারা গেছেন ৬৭৬ জন।
সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের তালিকায় মহারাষ্ট্রের পরেই অবস্থান করছে উত্তর প্রদেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৮ হাজার ৫৫ জন।
তবে দৈনিক মৃত্যুর হিসেবে মহারাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। শনিবার দিল্লিতে করোনায় মারা গেছেন ৩৫৭ জন, যা এখন পর্যন্ত দিল্লিতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ দিন দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩১ জন।
এছাড়া ভারতের কর্ণাটক ও কেরালায়ও শনিবার নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের ওপরে। ব্রিটেনের অভিজ্ঞতা দেখে গত নভেম্বরেই বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, ভারতে করোনা সংক্রমণের আরও মারাত্মক দ্বিতীয় ঢেউ আসতে চলেছে।
বিরোধী দলের নেতাদের অভিযোগ, ওই সতর্কবার্তা সত্ত্বেও পরিকাঠামোগত উন্নতির দিকে কেন্দ্রীয় সরকার মনোযোগ না-দেওয়ার খেসারত এখন দিতে হচ্ছে ভারতকে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গত নভেম্বরে নিজেদের রিপোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারকে একাধিক সুপারিশ করেছিল। হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনযুক্ত শয্যা, আইসিইউ শয্যা, ভেন্টিলেটরের সংখ্যা বাড়ানোর ওপরে জোর দেওয়া হয়েছিল।
কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালার অভিযোগ, এ সবের কিছুই মানেনি কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে অক্সিজেনের অভাবে এখন মানুষকে মরতে হচ্ছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টিকা বিতরণে একচোখা নীতিকেও দায়ী করেন তিনি। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার পত্রিকা।