ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৯১ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এসময় মারা গেছেন অন্তত ২ হাজার ৮১২ জন।
ভারতীয় মেডিক্যাল গবেষণা কাউন্সিলের (আইসিএমআর) তথ্যমতে, গত রোববার পর্যন্ত দেশটিতে মোট ২৭ কোটি ৯৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু গতকালই পরীক্ষা হয়েছে ১৪ লাখ ২ হাজার ৩৬৭টি।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রোববার রাতে অন্ধ্র প্রদেশের ভিজিয়ানগরম মহারাজা হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে পাঁচজন রোগী মারা গেছেন।
সংক্রমণের ঢেউ মোকাবিলায় সোমবার থেকে ৩ মে পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে উত্তরাখণ্ডের কোটদ্বার ও স্বর্গাশ্রম এলাকায়।
এদিকে, ভারতের সংকট কাটাতে তিনশটিরও বেশি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই যন্ত্রটি বাতাস থেকে অক্সিজেন পৃথক করতে সক্ষম।
রোববারই কনসেনট্রেটরগুলো নিউইয়র্ক থেকে ভারতের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে বলে জানা গেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি কার্গো প্লেনে করে সেগুলো সোমবার দুপুরের দিকে দিল্লি পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অক্সিজেন সহায়তার পাশাপাশি ভারতে করোনা টিকা তৈরির কাঁচামাল রফতানিও ফের শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক টুইটে বলেছেন, মহামারির প্রথম দিকে আমাদের হাসপাতালগুলো চাপে পড়লে ভারত যেভাবে সহায়তা পাঠিয়েছিল, আমরাও প্রয়োজনের সময়ে তাদের সহায়তা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা ভারতে ৪৯৫টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ১২০টি ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর এবং ২০টি ম্যানুয়েল ভেন্টিলেটর পাঠাবে।
ফ্রান্স ঘোষণা দিয়েছে, তারা ভারতকে অক্সিজেন সহায়তা দেবে। দেশটিকে সৌদি আরব দেবে ৮০ মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন।
ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, তারা ভারতে অক্সিজেন এবং ওষুধ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। কমিশনের প্রধান ভন ডার লিয়েন বলেছেন, ভারতের সাহায্যের আবেদনে সাড়া দিতে দ্রুত সংস্থানের ব্যবস্থা করছেন তারা।
বিপদের সময় পুরোনো শত্রুতা ভুলে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তানও। তারা প্রতিবেশীদের কাছে জরুরি চিকিৎসা উপকরণ পাঠাতে চেয়েছে। পাকিস্তানের ইধি ফাউন্ডেশন ভারতে ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে।