এদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৬ হাজার ৩১৫ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৭৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কভিড-১৯ সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বুধবার রাতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিনই বাংলাদেশে প্রথম কভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু ঘটে, আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে ১০ জনে।
বৈশ্বিক মহামারীর রূপ পাওয়া করোনাভাইরাসের দেশে সংক্রমণ এড়াতে বিদেশ থেকে কেউ এলেই তার ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করেছে সরকার; কেউ না মানলে শাস্তিও দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে এসেছেন ১ হাজার ৫৪৮ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন ৭৮ জন।
গত ১০ মার্চ থেকে কভিড-১৯ আক্রান্ত সন্দেহে ৫৮ জনকে ল্যাব পরীক্ষার জন্য আইসোলেশন ইউনিটে আনা হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় এসেছেন ১৬ জন।
ওই ৫৮ জনের মধ্যে ১৬ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ইজতেমা ময়দান প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে কোয়ারেন্টিনে রাখার প্রয়োজনে হাসপাতালের পাশাপাশি টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানও প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ।
বুধবার সচিবালয়ে ‘করোনাভাইরাস মোকাবিলায় করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই নির্দেশ দেওয়ার কথা জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বেশি মানুষ কোয়ারেন্টিনে রাখার প্রয়োজন হলে ঢাকার কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ কিছু হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানও প্রস্তুত করা হবে।
বিদেশ থেকে ফিরে নির্দেশনা অনুযায়ী হোম কোয়ারেন্টিনের নিয়ম না মানার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশফেরত সব ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিন থাকার সব নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়মের ব্যত্যয় হলে দেশের সংক্রামক রোগের নির্ধারিত আইনে আইনানুগ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এ নিয়ে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ‘জোরালো ভূমিকা’ রাখার বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, খুব দ্রুতই দেশের আট বিভাগেই নতুন করোনা ইউনিট স্থাপন করা হবে।
সভায় দেশের চিকিৎসকদের সুরক্ষায় ছয় হাজার বিশেষ গাউন দেওয়ার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
সভায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সাব্রিনা ফ্লোরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করোনাভাইরাস নিয়ে অবগত হতে নতুন একটি ইমেইল আইডি ও ফেইসবুক গ্রুপ খোলার কথা জানিয়েছেন।
এছাড়া সরাসরি যোগাযোগের জন্য ১৭টি হটলাইন খোলা হয়েছে। নম্বরগুলো হলো- ৩৩৩, ১৬২৬৩, ০১৫৫০০৬৪৯০১, ০১৫৫০০৬৪৯০২, ০১৫৫০০৬৪৯০৩, ০১৫৫০০৬৪৯০৪, ০১৫৫০০৬৪৯০৫, ০১৪০১১৮৪৫৫১, ০১৪০১১৮৪৫৫৪, ০১৪০১১৮৪৫৫৫, ০১৪০১১৮৪৫৫৬, ০১৪০১১৮৪৫৫৯, ০১৪০১১৮৪৫৬০, ০১৪০১১৮৪৫৬৩, ০১৪০১১৮৪৫৬৮, ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১।