শনিবার (১ মে) এক টুইটবার্তায় কেজরিওয়াল বলেন, ‘দিল্লি লকডাউনের মেয়াদ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।’
এই নিয়ে দিল্লিতে দ্বিতীয় দফায় বাড়ানো হলো লকডাউনের মেয়াদ। দিল্লির রাজ্যসরকার সূত্র জানিয়েছে, সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১০ মে পর্যন্ত লকডাউন চলবে।
দিল্লিতে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ। এরমধ্যে শুক্রবার সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার, মারা গেছেন ৩৭৫ জন।
অথচ মাস দুয়েক আগেও এতটা খারাপ ছিল না দিল্লির পরিস্থিতি। আজ থেকে ঠিক দুমাস আগে মার্চের ১ তারিখে দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ২০০ জন।
মার্চের মাঝামাঝি থেকে দিল্লিতে বাড়তে শুরু করে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বর্তমানে পরিস্থিতি এমন জায়গায়ে পৌঁছেছে যে অতিরিক্ত করোনা রোগীর চাপে দিল্লির বেশিরভাগ হাসপাতাল আর রোগী ভর্তি করার মতো অবস্থায় নেই।
পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে চলছে ওষুধ ও মেডিকেল অক্সিজেনের সংকট; চিকিৎসা সেবা দিতে দিতে ক্লান্ত, বিধ্বস্ত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন চিকিৎসকরা।
বর্তমানে শয্যা সংকটের পাশাপাশি দিল্লি হাসপাতালগুলোতে তীব্রভাবে শুরু হয়েছে মেডিকেল অক্সিজেনের সংটক। কিছুদিন আগে সেখানকার জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন ২৫ জন করোনা রোগী। তারপর শনিবার(১ মে) একই কারণে দিল্লির বাটরা হাসপাতালে মারা গেছেন এক চিকিৎসকসহ ১২ জন করোনা রোগী।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় দিল্লিতে এক সপ্তাহের লকডাউন জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তারপর গত ২৫ এপ্রিল লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩ মে পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়।