স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশটির পূর্বাঞ্চলে এ ঝড় আঘাত হানে।
শনিবার (১ মে) বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, চীনের সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, যারা মারা গেছেন তাদের অনেকে ঝড়ের প্রবল বাতাসের তোড়ে উড়ে ইয়ানসি নদীতে পড়েন। বাকিদের মধ্যে কেউ উপড়ে পড়া গাছ কিংবা বিদ্যুতের খুটি চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত বিবিসি আরও জানিয়েছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপকূলীয় শহর নানথং ও এর আশপাশের এলাকায় প্রবল এই ঝড়ের পাশাপাশি মার্বেল আকারের শিলাবৃষ্টি হয়। আর তাতেই সেখানকার শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছেন।
চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবোতে পোস্ট হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, গোটা নানথং শহরজুড়ে প্রবল বাতাস বয়ে যাচ্ছে। ঝড়ের কারণে বিভিন্ন ভবন থেকে আসা ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রাস্তায়। রাস্তায় গাছও উপড়ে পড়ে রয়েছে।
উইবোতে পোস্ট হওয়া আরেকটি ভিডিও ফুটজে নগরীর বিমানবন্দরের রানওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা বড় একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজকে বাতাসের ধাক্কায় ঘুরে যেতে দেখা যায়। গোটা শহরের বাসিন্দাই এমন ঝড়ের কবলে পড়েছিল।
চীনের অন্যতম বৃহৎ শহর সাংহাই থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে নানথং ইয়ানসি নদীর উত্তরে অবস্থিত। নদীর তীরবর্তী শহরটিতে ৮০ লাখ মানুষের বাস। ঝড়ে শহরটির বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।