একদিন আগেই দেশটিতে প্রথমবারের মতো সংক্রমণ ছিল ৪ লাখের বেশি। একদিনের ব্যবধানে এই সংখ্যা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৯২ হাজার। তবে এই সময়ের মধ্যে মারা গেছে ৩ হাজার ৬৮৯ জন। যা একদিন আগের চেয়ে সামান্য বেশি। একদিন আগেই দেশটিতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ১ হাজার ৯৯৩ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৫২৩ জন।
এদিকে শনিবার সকালে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। গত মাসে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে মোদি বলেছিলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশটিতে ঝড়ের মতো আঘাত করেছে।
এখন পর্যন্ত ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৯৫ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫৭ জন। অপরদিকে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৪২ জনের।
করোনার প্রথম ধাক্কার মতো দ্বিতীয় ঢেউয়েও সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। শনিবারের মতো রোববারও ওই রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছে ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ।
তবে কর্নাটক এবং কেরালায় রোববার আক্রান্তের সংখ্যা শনিবারের তুলনায় একটু কমেছে। ওই দুই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪০ হাজার ৯৯০ এবং ৩৫ হাজার ৬৩৬।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৩০ হাজার ১৮০ জন। দিল্লিতে ২৫ হাজার ২১৯ জন। সংক্রমণে এরপরেই রয়েছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তীসগড়, হরিয়ানা, বিহার, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং ওড়িশা। এই রাজ্যেগুলোতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে।
ভারতে গত কয়েকদিনে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বর্তমানে দেশটিতে মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪৪ জন। বিপুল পরিমাণ সক্রিয় রোগী দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালগুলোতে শয্যা সঙ্কট বেড়ে গেছে। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে। বিদেশ থেকে অক্সিজেন এনে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।
এই পরিস্থিতির মধ্যেও ভ্যাকসিন কার্যক্রম ভালো ভাবেই চলছে। আজ থেকেই ভারতে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীরাও ভ্যাকসিন পাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১৮ লাখের বেশি মানুষ। এ নিয়ে দেশটিতে ভ্যাকসিনে ডোজ দেওয়া হলো ১৫ কোটি ৬৮ লাখ।
এদিকে, শনিবার সকালে দিল্লির একটি হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটে ৮ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই আটজনের মধ্যে একজন চিকিৎসকও রয়েছেন বলে জানা গেছে।