মমতার জয়ের আভাস ভোটের ফলাফলে

মমতার জয়ের আভাস ভোটের ফলাফলে
সবার নজর এখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার ভোটের ফলাফলের দিকে। এই নির্বাচনে মূল লড়াই বিজেপি ও রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে বিজেপি বেশ পিছিয়ে আছে।

এবারের নির্বাচনের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় লড়াই করছেন নন্দীগ্রাম থেকে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল দলের এই নেত্রী ১০ বছর ধরে রাজ্যের ক্ষমতা ধরে রেখেছেন।

পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, তামিলনাড়ু, কেরালা ও পুদুচেরিতে ভোট গণনা শেষ হলেই ফলাফল জানা যাবে। ২৭শে মার্চ থেকে ২৯শে এপ্রিল পর্যন্ত আট দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এমন সময় এই নির্বাচনের ফলাফল দেয়া হচ্ছে যখন ভারতে প্রায় চার লাখের কাছাকাছি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও বুথফেরত জরিপ বলছে মমতার দলই জিততে যাচ্ছে আবারও। ভোট গণনা যতই এগিয়ে যাচ্ছে, ততই তৃণমূলের জয়ের ছবি স্পষ্ট হচ্ছে। আর তাতেই উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে কালীঘাটে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা।

ভোটবাক্সে যে ফলাফল ধরা পড়েছে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে তাতে বাঁধ মানছে না উচ্ছ্বাস। রাস্তার উপরই আবির খেলা শুরু হয়েছে। ঢাক ঢোল বাজিয়ে জয়ধ্বনি শোনা যাচ্ছে দলের নামে।

রোববার (০২ মে) সকাল থেকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। আর তাতে শুরু থেকেই গেরুয়া শিবিরের থেকে এগিয়ে তৃণমূল। দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজ্যে ২০৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে জোড়াফুল শিবির। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৮০টি আসনে। বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ-এর সংযুক্ত মোর্চা ৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

করোনা পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে বিশেষ সতর্কতা জারি রয়েছে কলকাতা শহরে। তাই কালীঘাটে মমতার বাড়ির কাছাকাছি কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না। সমর্থকদের ভিড় জমতে শুরু করলেও কালীঘাট রোডের সামনেই আটকে দেওয়া হয় সবাকে। সেখানেই ঢাকঢোল বাজিয়ে উৎসবে শামিল হন তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা। সমস্বরে ‘জয় বাংলা’, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধ্বনি শোনা যায়।

তবে মমতা বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অথবা তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদের বক্তব্য, ‘উত্তরপ্রদেশ, বিহারের মতো জাতপাত, ধর্মের নিরিখে ভোট হয় না বাংলায়। আমরা কাজ করেছি। মানুষ তাদের মতামত দিয়েছেন।’

দলের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এক টুইটা বার্তায় জানিয়েছেন, ‘মোদি, অমিত শাহ, বিজেপি, সিবিআই, ইডি, নির্বাচন কমিশন, গোদী মিডিয়া, বিশ্বাসঘাতকদের প্রবল প্রতাপ দিদি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কর্মী এবং বাংলার মানুষের সামনে কাজে এলো না’।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলকে হারানো সম্ভব হচ্ছে না, এটা স্পষ্ট হতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতার হেস্টিংস অঞ্চলে বিজেপির নির্বাচনী সদর দফতরে দলের নেতাদের দেখা নেই! অলস অপেক্ষা শুধু মিডিয়া কর্মীদের। আলাদা আলাদা বুথে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য বিশাল আয়োজন করেছিল বিজেপি! সে ইচ্ছাও এবার পূরণ হলো না।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া