স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তারিক আরিয়ান বলেছেন, তদন্তকারীরা দগ্ধ হয়ে যাওয়া ট্রাকগুলো তদন্ত করে দেখছে।
এটি দুর্ঘটনা নাকি কোনো সন্ত্রাসী হামলা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এটি এমন দিনে ঘটলো যেদিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে।
আরিয়ান জানান, একটি তেলবাহী ট্রাকে প্রথম আগুন লাগে, এরপর কাছাকাছি থাকা কয়েকটি ট্রাকে আগুন লেগে যায়। এর ফলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও প্রচুর ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে কাছাকাছি কয়েকটি বাড়িতে এবং একটি গ্যাস স্টেশনেও আগুন লেগে যায়। এর ফলে বেশ কয়েকটি অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে এবং প্রায়শই ঘাটতিতে থাকা কাবুলের বিদ্যুৎ সরবরাহ বেশিরভাগ অঞ্চলে বন্ধ হয়ে গেছে।
আহতদের প্রায় সবাই অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দাবি করে ট্রাক ড্রাইভাররা রোববার রাস্তা বন্ধ করে রেখেছেন।
হাজী মীর নামে এক ড্রাইভার বলেন, শহরে প্রবেশের জন্য ট্রাকগুলো লাইন ধরে ছিল। এ কারণে বিস্ফোরণ আরও তীব্র হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রথম বিস্ফোরণটি শুনে মাইন বিস্ফোরণের মতো মনে হয়েছিল। একটি ট্রাক থেকে দ্বিতীয় ট্রাকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, তারপর তৃতীয় ট্রাকেও। তিনি বলেন, অন্তত ১০০টি ট্রাকে আগুন লেগেছে।’
ওবাদুল্লাহ নামে সেখানকার এক অধিবাসী বলেন, অগ্নিকুণ্ড ছিল ভয়াবহ আকারের। তার পরিবার ও প্রতিবেশীরা দৌড়ে উঠানে যায় বলে জানান তিনি।
ঘটনাস্থলে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা এসে হাজির হন কিন্তু তাদের সীমিত সক্ষমতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগে যায়। রোববারও ঘটনাস্থলের কোথাও কোথাও আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তান-ইরান সীমান্তে শতাধিক ট্রাক ও কন্টেইনারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৭ জন আহত হন।