এছাড়া সিনোফার্মের টিকা নেওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হারও উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে বলে ওই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আবুধাবি পাবলিক হেলথ সেন্টারের করা ওই জরিপে বলা হয়, চীনা এই ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নেওয়ার পর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সামান্যই উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এছাড়া আক্রান্ত রোগীদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি হওয়ার পরিমাণও ৯৫ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে।
গবেষণার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোধে ভ্যাকসিনটি ৯৩ শতাংশ এবং আইসিইউতে ভর্তি হওয়া রোধে এটি ৯৫ শতাংশ কার্যকর। পাশাপাশি দুই ডোজ নেওয়ার পর আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি বলেও গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে কবে এই গবেষণা করা হয়েছে বা কতোজনের রোগীর ওপর ভিত্তি করে গবেষণাটি চালানো হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে ভ্যাকসিন নেওয়া এবং সচেতনতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা-দু’টিই জরুরি। এছাড়া, একবার আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে করোনাভাইরাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবেই-এটি পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।
সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে আরব আমিরাতের এক কর্মকর্তা বলেন, সিনোফার্মের ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ছয় মাস পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। তবে এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজনীতা রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশে জরুরিভিত্তিতে সিনোফার্মের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।