সোমবার (৩ মে) যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ ঘোষণা দিয়েছেন। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বরিস জনসন জানান, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ভারতের ১০০ কোটি পাউন্ডের নতুন বিনিয়োগ ও বাণিজ্য চুক্তি হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ৫৩ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড বিনিয়োগ করবে ভারত, যার মূল দিক হলো, টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশটিতে সেরাম ইনস্টিটিউটের বিনিয়োগ।
লন্ডনে বরিস জনসনের ডাউনিং স্ট্রিটের অফিস থেকে গতকাল এ–সংক্রান্ত একটি বিবৃতি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, সেরামের ২৪ কোটি পাউন্ডের এ প্রকল্পে যুক্তরাজ্যে টিকা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা, গবেষণা ও টিকা আরও উন্নত করতে যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৪ মে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করার কথা বরিস জনসনের। তার আগে ডাউনিং স্ট্রিট জানাল, ব্রিটেনে টিকা বানানোর এ উদ্যোগ মূলত ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তিরই অঙ্গ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ভারতের বাজারে নজর ছিল লন্ডনের। ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, সেরামের বিনিয়োগ ভারতের সঙ্গে হওয়া তাদের ১০০ কোটি পাউন্ড চুক্তিরই একটি অঙ্গ, যা দুই দেশেই বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
টিকা তৈরির সংখ্যার বিচারে এ মুহূর্তে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি টিকা তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। এ ছাড়া কম দামে টিকা তৈরির ব্যাপারেও বিশ্বের অন্য টিকা উৎপাদনকারীদের থেকে এগিয়ে সেরাম। ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে মিলে তৈরি তাদের করোনা টিকা কোভিশিল্ড বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে পৌঁছে দিয়েছিল ভারত। তবে বর্তমানে দেশে টিকার ঘাটতি দেখা দেওয়ায় আপাতত সেই সরবরাহ বন্ধ রেখেছে তারা।
উল্লেখ্য, ভারতে করোনা টিকার আকালের মধ্যেই কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারী সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনেওয়ালা লন্ডন গিয়েছেন। ব্রিটেনে সেরামের সহযোগী ও অংশীদারদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে। তার ফসল হিসেবেই এই বিনিয়োগ চুক্তি।
টিকা ছাড়াও প্রযুক্তি ও কৃষি খাতে ভারত ব্রিটেনে বিনিয়োগ করবে।