বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ আগে থেকেই ছিল, এবার কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যে সেই বিষয়টিই ধরা পড়ল। নরেন্দ্র মোদি যতই বলুন যে, দেশে দ্রুত টিকাকরণ হচ্ছে, বাস্তব পরিসংখ্যান বলছে, এখনো পর্যন্ত দেশে মাত্র তিন শতাংশ মানুষকে টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নিতে পেরেছেন।
টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর গত একমাস ধরে বিভিন্ন রাজ্য অভিযোগ করছিল যে, প্রয়োজনীয় টিকা রাজ্যকে পাঠাতে পারছে না কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের সময় এক সভায় এসেও প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে টিকাকরণ হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা মোদিকে জানান, এখনো পর্যন্ত গোটা দেশে দুই ডোজ টিকা দেওয়া গেছে মাত্র তিন শতাংশ মানুষকে। গত কয়েকদিনে টিকা দেওয়ার পরিমাণও কমেছে। কারণ, প্রয়োজনের তুলনায় টিকা উৎপাদনের পরিমাণ অনেকটাই কম।
কেন্দ্রীয় সরকার মার্চে যে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছিল, তাতে বলা হয়েছিল ষাট বছরের বেশি যাদের বয়স তাদের প্রথমে টিকা দেওয়া হবে। এপ্রিলে ৪৫ এর বেশি বয়সীদের টিকার কথা জানানো হয়। মে’র শুরু থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়।
রাজ্যগুলো জানায়, প্রথম ডোজ টিকা যাদের দেওয়া হয়েছে, তাদের দ্বিতীয় ডোজের ব্যবস্থা না করে এভাবে বয়স কমানো উচিত নয়।
বস্তুত বাস্তবেও দেখা যায় দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেতে অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। কারণ রাজ্যগুলোকে যথেষ্ট পরিমাণ টিকার ডোজ দিতে পারেনি কেন্দ্র। এপ্রিলের শেষ থেকেই বিভিন্ন রাজ্য টিকার সংকট শুরু হয়। কেন্দ্র থেকে আশ্বাস দিলেও অনেক রাজ্যে ১৮ বছরের উপরে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া এখনো শুরু হয়নি। দুই একটি বেসরকারি হাসপাতালই কেবলমাত্র তা দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মোদি বলেন, কোনোভাবেই টিকাকরণ কমানো যাবে না। বৃহস্পতিবারই বিভিন্ন রাজ্যকে নতুন করে টিকার চালান পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে ৪৫ বছরের কম বয়সীদের অধিকাংশ ক্ষেত্রে টিকা কিনতে হবে বলে ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় সরকার।
পাশাপাশি ঠিক হয়েছে সম্মুখসারির যোদ্ধা ও প্রবীণদের যাতে দ্রুত দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিয়ে দেওয়া যায়, সে দিকে খেয়াল রাখা হবে।