শনিবার (৮ মে) দেশ দুটির মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ইমরান খানকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে সপ্তম দফায় সফরে উষ্ণ অভ্যর্থনাও জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খান তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল শুক্রবার সৌদি আরবে পৌঁছান। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় জেদ্দা নগরীতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ ও আরও জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
২০১৮ সালের নির্বাচনের পর ইমরান খান প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। দুই দেশের সম্পর্ক বেশ ভালোই চলছিল। গত বছর ইসলামাবাদের সঙ্গে রিয়াদের সম্পর্ক শিথিল হয়।
বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ সৌদি আরব সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানকে কোটি কোটি ডলার অর্থসহায়তা ও ঋণ দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানকে সাহায্য–সহযোগিতা করলেও সৌদি আরব তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার ও তেল আমদানিকারক ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চায়নি।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সৌদি আরব ও পাকিস্তানের কর্মকর্তারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে দুটি চুক্তিতে সই করেছেন। এ ছাড়া মাদক, চোরাচালান বন্ধ এবং জ্বালানি, অবকাঠামো, পরিবহন, পানি ও যোগাযোগ প্রকল্পে অর্থায়নে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়েও সম্মত হয়েছেন তাঁরা। দেশ দুটি একটি শক্তিশালী সমন্বয় পরিষদ গঠনের বিষয়েও সম্মত হয়েছে।
আলোচনায় রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন এবং সৌদি আরবে কর্মরত প্রায় ২৫ লাখ পাকিস্তানির প্রয়োজন মেটাতে পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।