স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ মে) দেশটির তেলসমৃদ্ধ রিভারস রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর এক বিবৃতিতে নাইজেরিয়ান পুলিশ জানিয়েছে, একটি চেকপয়েন্টে প্রথমে গুলি চালায় হামলাকারীরা। এরপর তারা দুটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায়। পুলিশ বলছে, এর জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে হামলাকারীদের দু’জন নিহত হন, কয়েকজন আহত হন। তবে তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
এ রাজ্য ও অন্যান্য কিছু অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির মধ্যেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। যে রাজ্যে এ ঘটনা ঘটল, সে রাজ্যের রাজধানী পোর্ট হারকোর্ট হলো তেলসমৃদ্ধ ডেল্টা অঞ্চলে ঢোকার প্রবেশপথ।
পুলিশ, সৈনিক, কাস্টমস এবং সিভিল ডিফেন্স অফিসারদের হত্যাকাণ্ড ঠেকাতে গতমাসে রিভারস রাজ্যে রাতে সামীনা বন্ধের ঘোষণা দেয় পুলিশ।
নাইজেরীয় পুলিশের মুখপাত্র এননামদি অমোনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় দুটি গাড়িতে অস্ত্রধারীরা এসে চোবা ব্রিজ চেকপয়েন্টে গুলি করে দু’জন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেন। এরপর রুমুজি পুলিশ স্টেশনে আরও দু’জন পুলিশ কর্মকর্তকে হত্যা করে একটি টহল গাড়ি পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে হামলাকারীদের দুজন নিহত হন।
কিন্তু তারপরও ওই বন্দুকধারীরা আরও একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়ে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে।
হামলাকারীরা পাঁচটি অ্যাসল্ট রাইফেল লুট করে নিয়ে যায় বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
নাইজেরিয়ার সংসদেও গেল সপ্তাহে এই ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংসদের নিম্নকক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বুহারির প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে জরুরি অবস্থা জারির জন্য।
ডিসেম্বর থেকে দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে ডাকাতরা স্কুল থেকে ৭০০-এর বেশি মানুষকে অপহরণ করেছে, উগ্রপন্থি ইসলামি জঙ্গিদের হামলায় সেনাসদস্যসহ প্রাণ গেছে বহুজনের।