এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ কোটি ৮৩ লাখ ১২ হাজার। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩২ লাখ ৯৬ হাজার। ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেড়েছে সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা।
রোববার (৯ মে) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩ হাজার মানুষ। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩২ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬৯ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৮১ হাজার ৮২৬ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি ৮৩ লাখ ১১ হাজার ৬৬৬ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫৮১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৫৮৮ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার ৬২৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৪৮৪ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে মোট আক্রান্ত দুই কোটি ২২ লাখ ৯৫ হাজার ৯১১ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ৩৯৮ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫৭ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৯ জন, রাশিয়ায় ৪৮ লাখ ৭১ হাজার ৮৪৩ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৪ লাখ ৩৩ হাজার ৯০ জন, ইতালি ৪১ লাখ ২ হাজার ৯২১ জন, তুরস্কে ৫০ লাখ ১৬ হাজার ১৪১ জন, স্পেনে ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার ৪০৮ জন, জার্মানিতে ৩৫ লাখ ১৯ হাজার ২৫০ জন এবং মেক্সিকোতে ২৩ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ৬ হাজার ২৭৭ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ১২ হাজার ৯৯২ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৭ হাজার ৬০৩ জন, ইতালিতে এক লাখ ২২ হাজার ৬৯৪ জন, তুরস্কে ৪২ হাজার ৭৪৬ জন, স্পেনে ৭৮ হাজার ৭৯২ জন, জার্মানিতে ৮৫ হাজার ২৫২ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ১৮ হাজার ৯২৮ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।