আসামের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দলের অন্দরে একাধিকবার আলোচনায় বসেছেন শীর্ষ নেতারা। শেষ পর্যন্ত সর্বানন্দ সানওয়াল ও হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় দল। কথা বলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন হিমন্ত।
এরপর রোববার দুপুরে বিজেপি-র পরিষদীয় দল বৈঠকে বসে। সেখানেই চূড়ান্ত হয় হিমন্তের নাম। আসাম বিধানসভার নির্বাচনে ১২৬ আসনের মধ্যে বিজেপি পায় ৬০টি আসন, জোট শরিকদের আসন মিলিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। এর আগে, ২০১৬ সাল থেকে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার সামলেছেন সর্বানন্দ। এ বার তার বদলে শীর্ষপদে বসতে চলেছে হিমন্ত।
বাংলাদেশ নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ইতোপূর্বে একাধিক বার শিরোনাম হয়েছিলেন হিমন্ত। আসামের তথাকথিত অবৈধ অভিবাসীদের (মুসলিম) বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য যে নামের তালিকা করা হয়, সেটির নেতৃত্বে ছিলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি দাবি করেন, ‘বাংলাদেশ থেকে সেখানে যাওয়া অভিবাসী মুসলিম জনগোষ্ঠী’র একটি অংশ সাম্প্রদায়িক। তারা স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতি বিনষ্টকারী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত।
২০১৯ সালে আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকায় ১৯ লাখ লোক বাদ পড়ার একদিন পর এ নিয়ে সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-এর সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, ‘১৪-১৫ লাখ বিদেশিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশকে তাদের এই ১৪-১৫ লাখ লোককে ফিরিয়ে নিতে বলা হবে।’