দক্ষিণ এশিয়ার জনবহুল দেশ ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত। এরই প্রভাবে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শনাক্ত ও মৃত্যু।
সারাবিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৩ হাজার ৯৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮৫ জনে।
নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ৬৪ হাজার ৭৬১ জনের। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৫৬৭ জনে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় এখনও সবার ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ১৩৬ জনের। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৭৮৫ জনের।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় এর পরেই রয়েছে ভারত। গত কয়েকদিন ধরে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ২ হাজার ৮৩২ জনের। মোট মৃত্যু দাাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৬১ জনে।
তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। তালিকার পরবর্তী অবস্থানে থাকা দেশগুলো হলো- তৃতীয় ফ্রান্স, চতুর্থ তুরস্ক, ষষ্ঠ রাশিয়া, সপ্তম যুক্তরাজ্য, অষ্টম ইতালি, নবম স্পেন এবং দশম অবস্থানে জার্মানি।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখনও ৩৩তম। দেশে এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩৯৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১২ হাজার ৪৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। চীনে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।