বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনেও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বোমা বর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় গাজার বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। গত কয়েকদিনের টানা এই হামলায় ভূখণ্ডটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ জনে। নিহতদের মধ্যে ১৭ জন শিশু।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর দফায় দফায় বিমান হামলায় ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটি। বৃহস্পতিবার সকালেও বোমা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। আর এর মধ্যেই উদযাপনহীন রক্তাক্ত এক ঈদ পার করছেন ফিলিস্তিনিরা।
বুধবার সারা রাত আর বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর তীব্র বোমা হামলার বিষয়ে আলজাজিরার সাফওয়াত আল-কাহলাউত বলছেন, ‘গাজার বেশিরভাগ মানুষ সারা রাত জেগে ছিলেন। কিছুক্ষণ পরপরই বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে, আর তাতে কেঁপে উঠছে আশপাশের ভবনগুলো।’
হামাস নিশ্চিত করেছে যে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় তাদের দলের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সদস্যের সঙ্গে গাজা সিটি কমান্ডার বাসেম ইসা নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা ও পুলিশ বাহিনীর ভবনগুলো ছাড়াও সশস্ত্র যোদ্ধাদের অবস্থানগুলোতে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের যুদ্ধ বিমানগুলো।
এদিকে গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় তেল আল-হাওয়া এলাকায় নিজেদের বাড়িতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় চার মাসের অন্তসত্ত্বা এক নারী ও তার পাঁচ বছর বয়সী শিশু সন্তান নিহত হয়েছেন। নিহত ওই নারীর নাম রিমা তেলবানি এবং তার শিশু সন্তানের নাম জায়িদ। এছাড়া গাজার শেখ জাইদ এলাকার পাশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ভবন ধসে পড়ে নিহত হয়েছেন বয়স্ক এক দম্পতি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৬৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৭ জন শিশু ও আট জন নারী রয়েছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৩৯০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
এদিকে পবিত্র মসজিদ আল-আকসায় ঈদুল ফিতরের নামাজে অংশ নিয়েছেন বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি। গত কয়েকদিন ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তুমুল উত্তেজনা-সংঘর্ষ সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার সকালে নামাজে অংশ নেন তারা।
সূত্র: আলজাজিরা