কথিত শান্তি পরিস্থিতি ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব বিশ্বের কূটনীতিকদের আহ্বান ও ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে আগামী রোববার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি বৈঠকের আগমূহর্তে মার্কিন দূতের এই তেল আবিব সফর তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল সম্পর্কবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হাদি আমর। বিবিসি লিখেছে, হাদি আমর একজন মধ্যম-পর্যায়ের কূটনীতিক, যিনি মর্যাদায় যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রশাসনের বিশেষ দূতের সমপর্যায়ের নন।
ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ‘একটি টেকসই শান্তির লক্ষ্যে চলমান আলোচনাকে শক্তিশালী করাই’ হাদি আমরের সফরের লক্ষ্য। যদিও মধ্যস্থতাকারীরা এখন পর্যন্ত ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি নেতাদের একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তি করতে রাজি করাতে পারেননি।
এদিকে টানা পঞ্চম দিনের মতো অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। শনিবারের হামলায় আরও ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলা প্রতিরোধ পাল্টা ইসরায়েলে রকেট হামলা করেছে গাজা উপত্যকার শাসকগোষ্ঠী হামাস।
২০১৪ সালের পর গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে এতটা ভয়াবহ সংঘাত পরিস্থিতি গত ৭ বছরে তৈরি হয়নি। গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪০ এর বেশি শিশুসহ অন্তত ১৩৬ জন ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলে ৮ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার সংঘাত ছড়িয়েছে গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন ফিলিস্তিনের অপর অংশ পশ্চিম তীরেও। এদিন পশ্চিম তীরেও অন্তত ১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত কয়েশ শত। ইসরায়েলি সেনাদের গুলি, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেটে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।