সোমবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে মোট ১৬ কোটি ৩৭ লাখ ৯ হাজার ৭৬ জনের শরীরে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৩ লাখ ৯২ হাজার ৯৬৫ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন মোট ১৪ কোটি ২১ লাখ ৬১ হাজার ৩২৫ জন।
বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৩৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৫১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ১৪৭ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৭৩ লাখ ৬ হাজার ২০ জন।
এরপরই রয়েছে ভারত। বেশ কিছুদিন ধরে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৪৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯২৫ জনের শরীরে। মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৪১১ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ১১ লাখ ৬৭ হাজার ৬০৯ জন।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ল্যাটিন আমেরিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ কোটি ৫৬ লাখ ২৭ হাজার ৪৭৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৮২৩ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৪০ লাখ ৯৭ হাজার ৬০৯ জন।
তালিকার পরবর্তী অবস্থানে থাকা দেশগুলো হলো- তৃতীয় ফ্রান্স, চতুর্থ তুরস্ক, ষষ্ঠ রাশিয়া, সপ্তম যুক্তরাজ্য, অষ্টম ইতালি, নবম স্পেন এবং দশম অবস্থানে জার্মানি।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম। দেশে এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ৮০ হাজার ১৫৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ১৪৯ জনের। সেরে উঠেছেন ৭ লাখ ২২ হাজার ৩৬ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। চীনে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।