এনডিটিভি জানায়, তাওকতের প্রভাবে সম্ভাব্য ভূমিধসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে গুজরাটের ভবনগর জেলার পোড়াবন্দর ও মাহুভার নিম্নাঞ্চলের ২৫ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এই রাজ্যের নিম্নাঞ্চলের দেড় লাকের বেশি মানুষকে ইতোমধ্যে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ভারি বৃষ্টি ও ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলে সতর্ক করেছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে গুজরাটের জুনাগড়, গিড় সোমনাথ এবং আমরেলিতে।
ঘূর্ণিঝড় তাওকতের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে গুজরাটের পোড়াবন্দর, আমরেলি জুনাগড়, গিড় সোমনাথ, বোতাদ, ভবনগড় এবং আহমেদাবাদের উপকূলীয় এলাকা বিশেষ করে যেসব এলাকায় কুঁড়েঘর রয়েছে। কর্তৃপক্ষ এসব এলাকায় উড়ন্ত বস্তু, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সতর্ক করেছে। বৃষ্টির কারণে সড়ক ও রেললাইন তলিয়ে যাওয়াসহ ফসল ও লবণের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তাওকতের প্রভাবে ইতোমধ্যে মুম্বাইয়ে ভারি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মুম্বাই বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া চেন্নাই থেকে মুম্বাইগামী একটি স্পাইসজেট গতিপথ পরিবর্তন করে সুরাতের দিকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। বন্দ্র-ওড়লি সমুদ্র সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মুম্বাইয়ের প্রতিটি ওয়ার্ডে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের টিম (এনডিআরএফ)।
এনডিআরএফ প্রধান এসএন প্রধান বলেন, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের ১০১টি দল মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া জরুরি চিকিৎসা ও খাদ্য সহায়তা টিম প্রস্তু রয়েছে।
সোমবার সকালে গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে প্রায় সাত হাজার মাছ ধরার নৌকা নিরাপদে তীরে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এ ছাড়া তিন শতাধিক বাণিজ্যিক জাহাজকে গতি পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে এবং তেলবাহী জাহাজগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় তাওকতের প্রভাবে ভারতে অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কর্ণাটকে চারজন ও কেরালায় দুজনের মৃত্যু হয়। রোববার গোয়ায় ঝড়ের প্রভাব বেড়েছে। উপড়ে গেছে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। বন্ধ হয়ে গেছে বহু রাস্তা। এ ছাড়া গোয়ার বেশ কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।