সোমবার (২৪ মে) টুইটে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।
সোমবার বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এক টুইটে লেখেন, দেশের মানুষের জীবন-জীবিকার বিরুদ্ধে মোদী সরকার কী ভাবে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ করেছে সেই ছবি সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে ধরা পড়েছে। সিএমআইই তথ্য তুলে ধরে তিনি আরো লেখেন, ‘মে মাসে দেশে বেকারত্বের হার লাফিয়ে বেড়েছে। যার ফলে ৫.৬ কোটি কর্মী জীবিকা হারিয়েছেন। ১.২ কোটি মানুষ খুইয়েছেন তাঁদের রুজিরুটি। কিন্তু, শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত বড় শিল্পসংস্থাগুলোর মুনাফা গত কয়েক বছরে সবচেয়ে বেশি হয়েছে। যা দেশের জিডিপির ২.৬ শতাংশ। দেশের মানুষকে এর জবাব দিন।’
করোনা সংক্রমণ এবং লকডাউনের জেরে গত বছর এপ্রিল মাসে দেশে বেকারত্বের হার পৌঁছেছিল ২৭ দশমিক ১ শতাংশে। তার পর জুন মাস থেকে লকডাউন শিথিল হতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে ওই হার কমতে শুরু করে। কিন্তু, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে বিভিন্ন রাজ্য লকডাউন ঘোষণা করায় এ মাসে দেশে বেকারত্বের হার ফের লাফিয়ে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
এর আগে গত জানুয়ারি মাসে বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম বলেছিলেন, কোভিডের কারণে যারা কর্মসংস্থান হারিয়েছে বা যাদের বেতন কমেছে তার পুরোটা হয়তো অদূর ভবিষ্যতে ফিরে আসবে না। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বেকারত্ব নিয়ে ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে (National Sample Survey Organization) অর্গ্যানাইজেশন একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করতে দেয়নি বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt)। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে বেকারত্বের হার আগের সাড়ে চার দশকের সর্বোচ্চ ৬.১ শতাংশে পৌঁছেছে।
সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি (Centre for Monitoring Indian Economy) গত সপ্তাহে এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ১৬ মে পর্যন্ত দেশে বেকারত্বের হার(Unemployment Rate) তার আগের সপ্তাহের ৮.৭ শতাংশের প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ১৪.৫ শতাংশে পৌঁছেছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, গ্রামাঞ্চলে বেকারত্বও ওই এক সপ্তাহে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ শতাংশে পৌঁছোয়।