তবে এইদিনে তুলনামূলকভাবে নেমে এসেছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত প্রায় এক মাস ধরে যেখানে ভারতে প্রতিদিন ৪ হাজার বা তার বেশি করোনা রোগীর মৃত্যু হতো, সেখানে বুধবার দেশটিতে মারা গেছেন ৩ হাজার ৮৪৭ জন।
এই দিন করোনায় ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় এই রাজ্যটিতে বুধবার মারা গেছেন ৯৯২ জন করোনা রোগী।
এছাড়া অন্যান্য যেসব রাজ্য উচ্চ সংখ্যক মৃত্যু দেখা গেছে সেগুলো হলো কর্নাটক (মৃত্যু-৫৩০), তামিলনাড়ু (মৃত্যু-৪৭৫), উত্তরপ্রদেশ (মৃত্যু-১৯৩), পাঞ্জাব (মৃত্যু-১৮৫), পশ্চিমবঙ্গ (মৃত্যু-১৫৩), কেরালা (মৃত্যু-১৩০), রাজস্থান (মৃত্যু-১০৭) এবং হরিয়ানা (মৃত্যু-১০৬)।
তবে আগের দিনের তুলনায় বুধবার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও এই দিন যে পরিমাণ মানুষ করোনা থেকে সেরে উঠেছেন, সেই সংখ্যা দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার চেয়ে বেশি।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ৮৩ হাজার ১৩৫ জন। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতে বর্তমানে করোনা থেকে আরোগ্য লাভের হার প্রায় ৯০ শতাংশ।
ভারতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি, কেরালায়। তারপর বছর জুড়ে এ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর পর নভেম্বরের দিকে কমে আসছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
এই ধারা অব্যাহত ছিল চলতি বছর মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। তারপরই দেশটিতে হু হু করে বাড়তে থাকে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। পরিস্থিতি এক সময় এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে দেশটিতে প্রতিদিন আক্রান্ত হতে থাকেন ৪ লাখেরও বেশি মানুষ এবং দৈনিক মৃতের সংখ্যা অতিক্রম করে ৪ হাজারের কোঠা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞরা এই মর্মে অভিমত দেন, ভারত বর্তমানে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ পার করছে। সংক্রমণে লাগাম টানতে বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন জারি করা হয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২৪ লাখ ২৬ হাজার ৬৬৮ জন। এছাড়া মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ কোটি ৭৩ লাখ ৬৭ হাজার ৯৩৫ জন এবং এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩ লাখ ১৫ হাজার ২৬৩ জনের।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া