শুক্রবার (২৮ মে) দেশটির সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সীমান্তে লালফৌজের কার্যকলাপের ওপরও নজর রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, এখনও লাদাখের প্যাংগং লেক থেকে সেনা সরানো হয়নি। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের অবস্থায় ফিরে আসুক দুই দেশের সম্পর্ক।
ভারতীয় সেনাপ্রধান জানান, ভারত চীনকে স্পষ্ট করে জানিয়েছে উভয়পক্ষের পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমেই সেনা সরানো হতে পারে। তিনি এও জানিয়েছেন, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ৫০ থেকে ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চীন। এ অবস্থায় সেই অঞ্চলে পাল্টা সেনা মোতায়েন করছে ভারতীয় সেনাবাহিনীও। পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অঞ্চল দেপসাং, গোগরা অন্যান্য পয়েন্টে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চায় ভারত।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এম এম নারাভানে বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। কয়েকদিনের মধ্যে ১২তম বৈঠকে বসবে দুপক্ষ। করোনার কারণে এই বৈঠক পিছিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে অরুণাচল প্রদেশ ও চীন সীমান্ত পরিদর্শনে যান সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে। অরুণাচল প্রদেশের নর্দান বর্ডার নাগাল্যান্ডের দিমাপুরে গত ২০ মে যান তিনি। উত্তর পূর্ব অঞ্চলে সতর্কতা অবলম্বনে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা দেখতেই তিনি সেখানে যান বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে লাদাখ সীমান্তে চীনা সেনাদের মহড়ার মধ্যেই সীমান্ত পরিদর্শন করেন ভারতের বিমানবাহিনী প্রধান আর কে এস ভাদুরিয়া। তিনি মূলত সীমান্তে ভারতের রণকৌশল ও পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। বিমানবাহিনীর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই এ সফর করেন বিমানবাহিনী প্রধান।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় চীন সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২০ জওয়ান নিহত হয়৷ জানা যায়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর আরও অন্তত ৭৬ জন জওয়ান আহত হয়। এরপরই ভারতের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জরুরি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়। এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং নিয়ন্ত্রণের পথ কী তা নিয়ে ইতোমধ্যে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখনও কমেনি সেই উত্তেজনা।