শুক্রবার (২৮ মে) স্থানীয় সময় রাতে এ ঘোষণা দেয় আদালত।
গত বছরের আগস্টে মালিতে সেনা অভ্যুত্থান হয়। অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বৌবাকার কিয়েতা। আগস্ট অভ্যুত্থানেরও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কর্নেল গোইতা। স্থানীয় সময় শুক্রবার দেশটির সাংবিধানিক আদালত এক ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্টের পদ ফাঁকা হওয়ায়’ সংবিধান অনুযায়ী কর্নেল গোইতাকে অন্তবর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেওয়া হলো।
সবশেষ সামরিক অভ্যুত্থানের কয়েক ঘণ্টা আগেই অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভায় এক রদবদল হয়। গোইতার অভিযোগ, তার সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো সলাপরামর্শ করা হয়নি। এই রদবদলে দুই সেনা কর্মকর্তাও মন্ত্রিত্ব হারান। তারা ছিলেন অভ্যুত্থানে কর্নেল গোইতার ঘনিষ্ট সহযোগী। রদবদলের পরপরই অন্তর্বতী সরকারের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে আটক করে কোইতার অধীনে থাকা সেনারা।
অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে এ রদবদলের ঘটনা দেশটির গণতন্ত্রে ফেরার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে রোববার পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর নেতারা ঘানাতে এক জরুরি বৈঠকেও বসতে যাচ্ছেন। দ্য ইকোনমি কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেট (ইকোওয়াস) গত আগস্টের অভ্যুত্থানের পর মালির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার বেসামরিক নেতৃত্বে পরিচালিত হবে, এমন আশ্বাস পেয়ে ইকোওয়াস গত অক্টোবরে ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল। প্রতিশ্রুতি পূরণ না করা ফের নিষেধাজ্ঞার মুখে মালি।