রোববার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গতকাল শনিবার (২৯) ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৪৭৪ জনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে নতুন শনাক্ত হয় ৫ লাখ ৪৩ জন রোগী।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে মোট ১৭ কোটি ৬ লাখ ১৮ হাজার ২২২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ৩৫ লাখ ৪৮ হাজার ৪৯১ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৬ হাজার ৮৪১ জন।
বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৪০ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৮ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯ হাজার ৪২১ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৭৮ লাখ ১৮ হাজার ৯৬১ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৩ হাজার ৪৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৯৮ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৫৪ লাখ ৪৬ হাজার ৮২০ জন।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ কোটি ৬৪ লাখ ৭১ হাজার ৬০০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৬১ হাজার ১৪২ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯৬ জন।
তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স, পঞ্চম স্থানে তুরস্ক, ষষ্ঠ স্থানে রাশিয়া, সপ্তম যুক্তরাজ্য, অষ্টম ইতালি, নবম জার্মানি এবং দশম স্পেন।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম। দেশে এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৩৮৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মারা গেছেন ১২ হাজার ৫৪৯ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৪০৮ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।