বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শরীরচর্চার প্রয়োজনে দিনে কেবল একবার বাসা থেকে বের হওয়ার সুযোগ মিলবে।
যারা জরুরি সেবায় জড়িত, তারা কর্মস্থলে যেতে পারবেন। খাবার, ওষুধের মত জরুরি সামগ্রী কিনতে দোকানে বা চিকিৎসা কেন্দ্রে যাওয়া যাবে।
জরুরি নিত্যপণ্যের বাইরে অন্য সব পাণ্যের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাইরে একসঙ্গে দুইজনের বেশি কোথাও চলাফেরা করা যাবে না।
এসব নির্দেশনা কেউ না মানলে পুলিশকে বাধ্য করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের জরিমানাও করা যাবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিন সপ্তাহের এই বিধিনিষেধ জারি করেন, যাকে সংবাদপত্রের ভাষায় ‘লকডাউন’ বলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “পুরো দেশ আজ এক জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি। এই সময়ে সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থেই যার যার বাসায় থাকা জরুরি।”
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হালনাগাদ যে হিসাব দিয়েছে, তাতে যুক্তরাজ্যে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, মৃত্যু হয়েছে ৩৩৬ জনের। ইউপোরে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্সের পর যুক্তরাজ্যেই মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
গত ডিসেম্বরের শেষে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ১৬৮টি দেশে। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির টালি অনুযায়ী, বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৮১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ১৬ হাজার মানুষের। আর আক্রান্তদের মধ্যে ১ লাখ ১৩০০ জনের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।