ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, ‘আপনি পঙ্গু নাকি স্বাভাবিক সেটি কোনও বিষয় নয়। আপনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন কি না অথবা আপনার পা অথবা হাত আছে কি না সেটিও কোনও বিষয় নয়। মনোবল দৃঢ় থাকলে অন্য লোকজন আপনি পারবেন না বললেও আপনি একটি কাজ শেষ করতে পারছেন কি না সেটিই মূল বিষয়।’
তিনজন গাইডকে নিয়ে গত ২৪ মে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে ৮ হাজার ৮৪৯ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছান ঝ্যাং। নেপালের দিক থেকে মাউন্ট এভারেস্টে ওঠার পর বৃহস্পতিবার তিনি বেস ক্যাম্পে ফিরে আসেন।
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চংকিংয়ে জন্ম ঝ্যাংয়ের। গ্লুকোমা সমস্যার কারণে মাত্র ২১ বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন তিনি। ২০০১ সালে মার্কিন অন্ধ পর্বতারোহী এরিক ওয়েইহেনমেয়ারের মাউন্ট এভারেস্টের জয়ের খবরে অনুপ্রাণিত হন ঝ্যাং। পর্বতারোহী বন্ধু ও গাইড কিয়াং জিয়ের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন তিনি।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ বন্ধ ঘোষণা করলেও চলতি বছরের এপ্রিলে বিদেশিদের জন্য আবারও তা খুলে দেয় নেপাল।
ঝ্যাং বলেন, ‘আমি তখনও অনেক বেশি ভয়ে ছিলাম। কারণ আমি কোথায় হাঁটছি, তা দেখতে পাচ্ছিলাম না। আমার মধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র খুঁজে পাচ্ছিলাম না। যে কারণে আমি মাঝে মাঝে পড়ে গিয়েছিলাম।’
‘কিন্তু এটি কঠিন হওয়া সত্ত্বেও আমি ভাবছিলাম যে, আমাকে এ ধরনের প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হবে। এটিই আমার পর্বতারোহণের একমাত্র রসদ। যেখানে প্রতিকূলতা, ঝুঁকি থাকবে এবং এটার নামই পর্বতারোহণ।’