গতকাল রাজ্যটিতে নতুন করে ১১ হাজার ২৮৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একইসঙ্গে রেকর্ড করোনা পরীক্ষাও হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এতে দেখা গেছে কমেছে ‘পজিটিভিটি রেট’। এ নিয়ে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর মোট আক্রান্ত ১৩ লাখ ৬৬ হাজার ২৪০ জনে দাঁড়িয়েছে।
রোববার স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গতদিন শুধু উত্তর চব্বিশ পরগনাতে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। এপ্রিলের পর সংক্রমণের হার কমে দাঁড়িয়েছে ১৬.৩৭ শতাংশে। তবে মোট হার বেড়ে সর্বোচ্চ ১১.০৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
গতদিন উত্তর চব্বিশ পরগনায় সর্বাধিক আক্রান্ত হয়েছে ২৪৮২ জন। এছাড়া কলকাতায় ১৮৩০, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ৮৯০, হাওড়ায় ৮৩৫, নদীয়ায় ৬৯৮, হুগলিতে ৬০৪ এবং পূর্ব মেদিনীপুর ৫৪৮ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সংক্রমণ ক্রমশ কমতে থাকলেও গত তিন দিন ধরে রাজ্যটিতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা দেড়শোর কাছে ছিল। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় তা কমে হয়েছে ১৪২ জন। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রাদেশিক রাজধানী শহর কলকাতায় এখন পর্যন্ত মারা প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৪২৮ জন।
এছাড়া উত্তর চব্বিশ পরগনায় মোট ৩ হাজার ৮৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই দুই এলাকা ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাওড়ায় ১৪, হুগলি এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ৮ জন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যটিতে এসব এলাকায় করোনার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ।
জলপাইগুড়িতে ৬, নদীয়ায় ৫, দার্জিলিং, দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩ জন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানে এক জন করে মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু ১৫ হাজার ৪১০।