সোমবার (৩১ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন তিনি। মুহিউদ্দিন ইয়াসিন বলেন, প্যাকেজটিতে সরাসরি আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আয়ের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি যারা ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা সহায়তা পাবেন।
তিনি বলেন, পরিবার অনুযায়ী ১০০ থেকে ৫০০ রিঙ্গিতের মধ্যে বান্টুয়ান প্রহাতিন রাকিয়াত প্রদানে ১.২ বিলিয়ন বরাদ্দ করেছে সরকার। ট্যাক্সি এবং বাস অপারেটরদের জন্য একটি এক বিলিয়ন রিঙ্গিতের প্রকল্প চালু করা হবে। ট্যাক্সি, বাস এবং ই-হিলিং চালকরাও ৫০০ রিঙ্গিত করে সহায়তা পাবেন।
জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির রোল আউট বাড়ানোর বিষয়ে মুহিউদ্দিন ইয়াসিন বলেন, টিকা কেন্দ্রগুলোতে অসুবিধার মুখোমুখি ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য সরকারি সম্পদ যেমন বাস এবং অন্যান্য যানবাহনকে একত্রিত করা হবে।
এছাড়া দেশটিতে করোনার কারণে দেওয়া চলমান লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী, মজুরি ভর্তুকি এবং অন্যদের মধ্যে ইউটিলিটি বিলের ছাড়ের মাধ্যমে সহায়তা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে।
এদিকে সংক্রমণরোধে দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন চলাকালে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে দেশটির সিনিয়র (প্রতিরক্ষা) মন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি বলেছেন, নিতান্ত প্রয়োজনে কেউ বের হলে চলাচল ১০ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। এক গাড়িতে সর্বোচ্চ দুজন চলতে পারবেন। বাইরে যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। আন্তঃজেলা ও আন্তঃরাজ্য ভ্রমণের অনুমতি থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, লকডাউনের মধ্যে শারীরিক সংস্পর্শে না এসে খেলাধুলা ও জগিং করা যাবে। করোনায় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন, এমন ব্যক্তির সন্তানদের জন্য কিন্ডারগার্টেন ও নার্সারি স্কুল খোলা থাকবে। খোলা থাকবে সুপার মার্কেট, রেস্টুরেন্টসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির প্রতিষ্ঠান।
ফুড ও বেভারেজ, স্বাস্থ্যসেবা, পানি, বিদ্যুৎ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জরুরি সেবা, সমাজকল্যাণ ও মানবিক সহায়তাকেন্দ্র, পয়ঃনিষ্কাশন, গণপরিবহন, নৌ ও স্থলবন্দর, গণমাধ্যম, টেলিযোগাযোগ, কুরিয়ার সার্ভিস, ব্যাংক-বীমা, ই-কমার্স, তেল সরবরাহ, কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হোটেল ও আবাসন, অতি জরুরি কনস্ট্রাকশন ও ডেলিভারি সার্ভিস খোলা থাকবে। অন্যান্য খাতের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আজ দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৮২৪ জন। মারা গেছেন ৬৭ জন।