স্থানীয় সময় সোমবার (৩১ মে) রাতে দেশটির সরকারের আর্থিক সহায়তা প্রতিষ্ঠান পেমারকাসা প্লাসে সহায়তা ঘোষণা করতে গিয়ে তিনি টেলিভিশনে এক বিশেষ ভাষণে একথা বলেন।
তিনি বলেন, তাদের এই তিন মাসের বেতন লকডাউনের কারণে কর্মহীন মানুষের মানবিক সহায়তায় এবং দেশটির ফ্রন্টলাইনার এবং মালয়েশিয়ানদের প্রতি একাত্মতা প্রদর্শনের জন্য জাতীয় দুর্যোগ ত্রাণ ট্রাস্ট তহবিলে এই অর্থ পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, মহামারির এই মহাবিপদের সময় ডাক্তার-নার্সরাই প্রকৃত সন্মুখসারির যোদ্ধা। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের এ ভয়াবহ ও নির্মম দুর্যোগে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল ভৌত অবকাঠামো, জনবল ও সরঞ্জাম নিয়ে আমাদের যে সব চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিক্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে আমাদের বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তাদের প্রতি আমাদের সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা ও নির্মল ভালোবাসা প্রকাশ করছি।
তিনি সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং সর্বদা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) মেনে চলার আহ্বান জানান এবং সবাইকে মনে করিয়ে দেন যে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নেওয়া সমস্ত প্রচেষ্টা অন্যথায় ব্যর্থ হতে পারে।
এছাড়াও তিনি কোভিড-১৯ রোগীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন এবং যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ায় করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ শুরু হওয়ায় সংক্রমণ রোধে ১ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত চৌদ্দ দিনের ফুল লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে দেশটির সরকার।
এদিকে, দেশটিতে সোমবার দুপুর পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৮২৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৭ জনের। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৫৭ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ হাজার ৭৯৬ জন এবং সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৪ লাখ ৯০ হাজার ৩৮ জন।