জাহাজটি ডুবে গেলে জ্বালানি ট্যাঙ্ক লিক হয়ে কয়েকশ টন তেল সাগরের পানিতে মিশে যাবে। ফলে কাছাকাছি থাকা বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর ওপর এর ধ্বংসাত্মক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই যৌথভাবে জাহাজের আগুন নেভানো এবং এটি ভেঙে গিয়ে যেন ডুবে না যায় সেজন্য কাজ করে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের নৌবাহিনী। কিন্তু সাগর উত্তাল থাকায় এবং তীব্র মৌসুমি বায়ুর কারণে উদ্ধার অভিযান বাধাগ্রস্ত হয়েছে। কলম্বো বন্দরের বাইরেই এই ডুবে যাওয়ার পথে রয়েছে।
শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনীর মুখপাত্র ক্যাপ্টেন ইন্ডিকা সিলভা বলেন, উদ্ধারকারীরা সাগরে দুষণ কমাতে ডুবে যাওয়ার আগে জাহাজটিকে টেনে গভীর সমুদ্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জাহাজটির পেছনের অংশটি সরে গেছে। এটি এখন ডুবতে শুরু করেছে।
কয়েকদিন ধরে জাহাজে আগুন জ্বলতে থাকায নেগোম্বো শহরের কাছে দেশটির সবচেয়ে প্রাচীন সৈকতে ইতোমধ্যেই তেল ও দূর্ষিত আবর্জনা ভেসে থাকতে দেখা গেছে। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, জাহাজটি যে অবস্থায় ছিল সেভাবেই ডুবে যাচ্ছে।
পরিবেশমন্ত্রী ড. আজান্থা পেরেরা এই দুর্ঘটনাকে পরিবেশের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, জাহাজে থাকা সব ধরনের বিপজ্জনক জিনিস, নাইট্রিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য জিনিস, তেল সাগরের পানিতে মিশে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এগুলো সাগরে থাকা প্রাণীদের ক্ষতি সাধন করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গত ১৫ মে জাহাজটি ভারতের গুজরাট রাজ্যের হাজিরা বন্দর থেকে যাত্রা করেছিল। কলম্বো বন্দরের উপকূলে নোঙর করা জাহাজটি বহনকারী একটি কন্টেইনার থেকে রাসায়নিক চুইয়ে পড়ে আগুন লাগার কথা জানানো হয়। ১৮৬ মিটার দীর্ঘ এই জাহাজটিতে এক হাজার ৪৮৬টি কন্টেইনারে ২৫ টন নাইট্রিক এসিডসহ আরও কিছু রাসায়নিক পদার্থ এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ছিল।