বাকি বিশ্বের বেশিরভাগ এলাকা থেকেও টিকা নেয়া পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে ফ্রান্স। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ অঞ্চল এবং উত্তর ও মধ্য আমেরিকার দেশগুলো। তবে সেক্ষেত্রে পর্যটকদের অবশ্যই করোনা টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ আসতে হবে।
ভ্রমণের নতুন এই নির্দেশনা আগামী বুধবার থেকে কার্যকর হবে। এর মাধ্যমে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ফ্রান্সের পর্যটন খাত আবারো চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস ফরাসি কর্তৃপক্ষের।
তবে ফরাসি কর্তৃপক্ষের ‘লাল তালিকাভুক্ত’ ১৬টি দেশের পর্যটকেরা এখনই এই সুবিধা পাচ্ছেন না। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিলের মতো সংক্রমণের উচ্চহারযুক্ত দেশগুলো থেকে ভ্রমণপ্রত্যাশীদের টিকা নেয়া থাকলেও ভ্রমণের কারণ ব্যখ্যা করতে হবে এবং অন্তত ১০ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এই তালিকায় নাম রয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, তুরস্কেরও।
ইউরোপের বাইরে বাকি বিশ্বের বেশিরভাগ দেশকেই ‘কমলা’ (অরেঞ্জ) তালিকায় রেখেছে ফ্রান্স। এই তালিকায় থাকা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোর পর্যটকদের ফ্রান্স ভ্রমণে কোনো কারণ দর্শাতে হবে না, পৌঁছানোর পর কোয়ারেন্টাইনেরও প্রয়োজন নেই। তবে ভ্রমণের আগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা করোনা টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ আসতে হবে।
টিকা নেয়া প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে টিকা না নেয়া শিশুদের প্রবেশের অনুমতি দেবে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। তবে এর জন্য ১১ বছর বয়সোর্ধ্বদের করোনা নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে।
ইউরোপের বাইরে সবুজ তালিকায় থাকা বাকি সাতটি দেশ হচ্ছে- অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ইসরায়েল, জাপান, লেবানন, নিউজিল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর। এসব দেশের পর্যটকদের টিকা নেয়া থাকলে বাড়তি কোনো ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হবে না।
সূত্র: এবিসি নিউজ