কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও অনেকে আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হচ্ছে।
দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়নি। উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে ধীর গতিতে।
উদ্ধারকর্মীরা বলেন, ৫০ শতাংশ কাজ হয়েছে। আরও সময় লাগবে। আমরা বিরতিহীন কাজ করে যাচ্ছি। অন্যদিকে আহতদের মধ্য থেকে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এতে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা, যা অর্ধশত ছাড়িয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি শতাধিক আহত মানুষ।'
স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি জেলার দারকি শহরে দুটি ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। করাচি থেকে সারগোদা যাওয়ার পথে লাইনচ্যুত হওয়া মিল্লাত এক্সপ্রেসকে পাঞ্জাব থেকে করাচিগামী স্যার সৈয়দ এক্সপ্রেস ধাক্কা দেয়। এতে অন্তত ১৪টি বগি লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। এর মধ্যে ৮টি বগি একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই বেশ কয়েকজন মারা যান। এর মধ্যে সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি রেলকর্মীও রয়েছেন। দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আটকে পড়াদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান রেলমন্ত্রী। দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্বজনদের প্রতি শোক জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।