সম্প্রতি মার্কিন শীর্ষ ধনীদের আয়কর প্রদানের তথ্য প্রপাবলিকা পেয়েছে। তার ভিত্তিতে ওয়েবসাইটটির অভিযোগ, আমাজনের জেফ বেজোস ২০০৭ ও ২০১১ সালে কোনো কর প্রদান করেননি এবং টেসলার ইলন মাস্ক ২০১৮ সালে কিছুই প্রদান করেননি। এমনকি আরেক ধনকুবের ওয়ারেন বাফেটের বিরুদ্ধেও কর কমানোর অভিযোগ এনেছে তারা। যদিও বাফেট ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছেন। বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেজোস এ দুই বছরে অন্যান্য আয়ের চেয়ে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করেছেন, এমনটা দেখিয়ে ফেডারেল আয়কর এড়িয়ে গেছেন। ওই দুই বছর বেজোস বিভিন্ন আয়ের প্রবাহ (শেয়ারের লভ্যাংশ, বেতন ইত্যাদি) থেকে প্রাপ্ত পরিমাণের চেয়ে বেশি বিনিয়োগ ক্ষতির কথা উল্লেখ করে ফেডারেল আয়করগুলোতে কিছুই দেননি। ওই দুই বছর ছাড়া বেজোস ২০০৬ থেকে ২০১৮ সালে ফেডারেল আয়কর দিয়েছিলেন। ওই সময়ে সাড়ে ৬ বিলিয়ন আয় দেখিয়ে বেজোস সাড়ে ২১ শতাংশ হারে ১৪০ কোটি ডলার আয়কর দেন। তবে এই সময়ে যে তাঁর সম্পদের হারে বেড়েছে, তার কোনো উল্লেখ নেই।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, জেফ বেজোসের সম্পদের পরিমাণ ১৮ হাজার ৮৮০ কোটি ডলার। ই–কমার্স জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান আমাজনের ১০ দশমিক ৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক বেজোস। যার পরিমাণ ১৭ হাজার কোটি ডলার। আমাজন ছাড়াও বেজোসের ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।
অবশ্যএকভাবে বেজোস আমাজনের শেয়ারের কর প্রদান এড়াতে পারেন। কারণ, শেয়ারের ক্ষেত্রে বিক্রি করে আয় না হওয়া পর্যন্ত শেয়ারের লাভ আদায় করা হয় না।