এর আগের দিন মঙ্গলবার বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ২৪ জন এবং নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯৭৬। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ৬৩২ এবং নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৫৭ হাজার ৪২৮ জন।
বুধবার করোনায় নতুন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার হিসেবে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে ভারত ও ব্রাজিল। ভারতে এই দিন এ রোগে মারা গেছেন ৬ হাজার ১৩৮ জন এবং নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩ হাজার ৮৯৬ জন।
ব্রাজিলে বুধবার করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪৪৮ জন এবং নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৮৭ হাজার ৯৬ জন।
দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর এই তালিকায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে দক্ষিণ আমেরিকার অপর দুই দেশ আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া। আর্জেন্টিনায় বুধবার মারা গেছেন ৬০৫ জন করোনা রোগী, আর এ রোগে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৭৫৭। অন্যদিকে, কলম্বিয়াতে বুধবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ২৩৩ জন এবং মারা গেছেন ৫৫০ জন করোনারোগী।
মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের হিসেবে শীর্ষে থাকা দেশ যুক্তরাষ্ট্রে বুধবার করোনায় মারা গেছেন ৪৪৭ জন এবং এ রোগে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ১২৫ জন।
এছাড়া বুধবার আরও যেসব দেশে করোনায় উচ্চসংখ্যক আক্রান্ত ও মৃত্যু দেখা গেছে সেগুলো হলো রাশিয়া (আক্রান্ত ১০ হাজার ৪০৭, মৃত্যু ৩৯৯), ইরান (আক্রান্ত ১০ হাজার ৫৯৮, মৃত্যু ১৫৭), দক্ষিণ আফ্রিকা (আক্রান্ত ৮ হাজার ৮৮১, মৃত্যু ১২৭), ইন্দোনেশিয়া (আক্রান্ত ৭ হাজার ৭২৫, মৃত্যু ১৭০) তুরস্ক (আক্রান্ত ৬ হাজার ৫৫৪ , মৃত্যু ৮৭), মালয়েশিয়া (আক্রান্ত ৬ হাজার ২৩৯, মৃত্যু ৭৫) ও ফিলিপাইন (আক্রান্ত ৫ হাজার ৪৬২, মৃত্যু ১২৬)।
মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৭ কোটি ৫১ লাখ ৫৬ হাজার ৬১৮ জন এবং এ পর্যন্ত এই রোগে মারা গেছেন মোট ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ২৩৯ জন। এই মুহূর্তে বিশ্বে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন ১ কোটি ২৭ লাখ ১৯ হাজার ৬৫ জন।
সক্রিয় করোনা রোগীদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ৭৪০ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৮৫ হাজার ৩২৫ জন।
তবে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও কম নয়। বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১৫ কোটি ৮৬ লাখ ৬১ হাজার ৩১৪ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটে উহানে। চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ সে সময় জানিয়েছিল মৃত ওই ব্যক্তি ‘অপরিচিত ধরনের’ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
শনাক্তের এক মাসের মাথায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা দেওয়ায় ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে ‘জরুরি পরিস্থিতি’ ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কিন্তু তাতেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় অবশেষে ওই বছর ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা দেয় ডব্লিউএইচও।