মহামারি করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে চলতি মাসের শুরু থেকেই এক মাসের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনে রয়েছে মালয়েশিয়া। এর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি তাদের টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়াতে একদিনে দুটি টিকার অনুমোদন দিল।
মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বৈশ্বিক টিকা বন্টনের উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে জনসনের টিকা পাবে। তবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে জনসনের ঠিক কত ডোজ কোভিড টিকা পাবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তা জানানো হয়নি।
সম্প্রতি মালয়েশিয়া সরকার জানিয়েছিল, তারা চীনের ক্যানসিনো টিকার ৩৫ লাখ ডোজ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানের তৈরি কোভিড টিকার একটি চালানও এখনও মালয়েশিয়ায় পৌঁছায়নি।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ১২ থেকে তদুর্ধ্ব বয়সীদের জন্য জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেক ও মার্কিন ফাইজারের যৌথভাবে তৈরি টিকার অনুমোদন দিয়েছে। যদিও সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকাদের টিকায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
মালয়েশিয়া এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ৯৫ লাখ টিকা নিশ্চিত করেছে যা দিয়ে দেশটির শতভাগ মানুষকে টিকা দিয়ে আরও ২৫ শতাংশ টিকা দিয়েও আরও ২৫ শতাংশ টিকা বাঁচবে। এর মধ্যে ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং চীনের সিনোভ্যাকের টিকা রয়েছে।
জুনে ও জুলাইয়ের শুরুতে মালয়েশিয়া ১৩ লাখ ডোজ ফাইজার-বায়োএনটেক টিকা পাওয়ার কথা। এছাড়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার থাইল্যান্ড কারখানায় সরবরাব ব্যবস্থার কিছু ত্রুটির কারণে ২২ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা পাওয়ার বিষয়টি বিলম্ব হচ্ছে।
দেশটির সরকারের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী সোমবার পর্যন্ত ৩২ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে; যা দেশটির মোট মানুষের ১০ শতাংশ। মে মাসে দেশটিতে রেকর্ড করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর পর সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সংক্রমণের দৈনিক সংক্রমণ কমেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় মালয়েশিয়ায় আরও ১০১ জনের প্রাণহানির পর দেশটিতে মোট মৃত্যর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৯। এছাড়া গতদিন আরও ৫ হাজার ৪১৯ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর মোট আক্রান্ত ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮৭৬ জন।