শুক্রবার (১৮ জুন) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথান একথা বলেছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ব্রিটেনে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। জার্মানির শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আশঙ্কা করছেন, টিকাদানের হার বাড়লেও ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত বেশিরভাগ আক্রান্তের জন্য দায়ী হয়ে উঠবে।
মস্কোতে আক্রান্ত বৃদ্ধির জন্য টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধাকে দায়ী করেছে ক্রেমলিন। নতুন শনাক্ত হওয়া বেশিরভাগ রোগী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। এতে দেশটিতে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইউরোপে ডেল্টা ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে মার্কিন প্রশাসনেও। বাইডেন প্রশাসনের আশঙ্কা, যুক্তরাজ্যে যেভাবে ভারতীয় এই ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে সেক্ষেত্রে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এটি যুক্তরাষ্ট্রেও করোনার আরেকটি ঢেউ তৈরি করতে পারে।
এক সংবাদ সম্মেলনে সৌম্য স্বামীনাথান বলেন, সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বে করোনার প্রধান ভ্যারিয়েন্ট হওয়ার পথে রয়েছে।
ডব্লিউএইচও কর্মকর্তারা বলছেন, আফ্রিকা অঞ্চল নিয়ে এখনও উদ্বেগ রয়েছে। যদিও মহাদেশটিতে বিশ্বের মোট আক্রান্তের ৫ শতাংশ ও মৃত্যুর ২ শতাংশ ঘটেছে। নামিবিয়া, সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া ও রুয়ান্ডাতে গত সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের তথ্য অনুসারে, ফাইজার-বায়োএনটেক ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় ৩০ শতাংশ। ফাইজারের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর এই সুরক্ষার হার বেড়ে দাঁড়ায় ৮৮ শতাংশ এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ। মূল ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ডেল্টার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনে অ্যান্টিবডি কম উৎপাদন হলেও মোটামুটি কার্যকর সুরক্ষা পাওয়া যায়।