সংস্থাটি বলছে গত এক দশকে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। এর অর্থ হলো পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার এক শতাংশই এখন বাস্তুচ্যুত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, মহামারির কারণে আশ্রয়ের আবেদন এবং সামগ্রিক অভিবাসনের পরিমাণ কমেছে। তারপরও গত বছর এক কোটি ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা ২০১৯ সালের চেয়েও বেশি। নিপীড়ন, সংঘাত, সহিংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বহু মানুষ।
ইউএনএইচসিআর-এর গ্লোবাল ট্রেন্ডস রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাত্র আড়াই লাখ শরণার্থী নিজ দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছে আর ৩৪ হাজার তৃতীয় কোনও দেশে পুনর্বাসিত হতে পেরেছে। সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দশ কোটি ছাড়ানো কেবল সময়ের ব্যাপার।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডে বলেন, ‘মানুষের বাস্তুচ্যুতির প্রাথমিক কারণ সংঘাত ও নিপীড়ন মোকাবিলায় আমাদের আরও অনেক বেশি রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার।’
জাতিসংঘের সংস্থাটির আশঙ্কা করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ শিথিল হলে ২০২১ সালে সংঘাত আরও তীব্র হবে। দীর্ঘায়িত সংঘাত, চরম আবহাওয়া এবং মহামারির কারণে খাদ্য পরিস্থিতি মারাত্মক হতে যাচ্ছে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। দক্ষিণ সুদান, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এবং সিরিয়ায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি রয়েছে।