নিজেকে ভালোবাসুন
একটু খেয়াল করে দেখবেন, তাকেই সবাই ভালোবাসে; যে নিজেকে ভালোবাসে। আপনি যদি নিজেকেই ভালো না বাসেন, যদি অবহেলা করেন তবে পরিবার বা বন্ধুদের কাছে নিজেকে মূল্যবান হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবেন না। আর নিজেকে মূল্য না দিলে অন্যরাও আপনাকে অবহেলাই করবে। তাই নিজের যত্ন নিন। যেসব কাজ করতে বেশি ভালোবাসেন, সেগুলো মন দিয়ে করুন। কোন কাজগুলো করলে আপনার মন বেশি খুশি থাকে, সেদিকে নজর দিন।
কাজের ধরন বদলান
যদি স্ট্রেসের মাত্রা অতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছায় তবে কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসুন। যেমন ধরুন, আপনি যদি কাজের অতিরিক্ত চাপ না নিতে পারেন তাহলে তাহলে কাজ সঠিকভাবে করার জন্য নতুন কোনো পদ্ধতি বেছে নিন। কাজের ক্ষেত্রে নিজের পছন্দ ও দক্ষতার দিকটি প্রাধান্য দিন। পছন্দের কাজটি করতে পারলে সহজে ক্লান্তি আসবে না। সেইসঙ্গে নতুন নতুন কাজ শিখে নিতে পারেন সময় করে। এতে আপনার দক্ষতা আরও বাড়বে।
প্রিয় মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন
প্রিয় মানুষগুলোর কাছ থেকে দূরে সরে যাবেন না। তাদের কাছে থাকতে না পারলেও যোগাযোগ বজায় রাখুন। তাদের সঙ্গে মন খুলে গল্প করুন। সুযোগ থাকলে তাদের কাছে বেড়াতে যান। আপনার সঙ্গীর সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটান। স্ট্রেসের কারণে যেন আপনাদের দূরত্ব না বাড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
নিজেকে সময় দিন
স্ট্রেস কাটিয়ে ওঠার জন্য নিজেকে সময় দেওয়া জরুরি। দিনের মধ্যে কিছুটা সময় বাইরে থেকে ঘুরে আসুন। দূরে যাওয়ার দরকার নেই, কাছাকাছি কোথাও থেকে ঘুরে আসুন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে কিছুটা সময় বিরতি নিন। এতে আপনি কাজের প্রতি বেশি মনোযোগ দিতে পারবেন, ক্লান্তি কম অনুভব হবে। চাপ অনুভব করলে বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন, বড় করে শ্বাস নিন। বাড়ি ফেরার পথে আপনার পছন্দের জায়গায় কিছুক্ষণ কাটাতে পারেন। প্রার্থনা, ধ্যান ইত্যাদিও স্ট্রেস কমাতে কার্যকরী।