সামনা-সামনি অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে বাইডেন গনি ও আবদুল্লাহকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করবেন যে যুক্তরাষ্ট্র আফগান জনগণের জন্য কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে। এছাড়া দেশটি সশস্ত্র গোষ্ঠীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠবেনা বলেও নিশ্চিয়তা দেবেন বাইডেন। রোববার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট গনি ও ড. আবদুল্লাহর সফরে সেনাসদস্য প্রত্যাহারের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের টেকসই অংশীদারিত্ব নিয়ে বৈঠকে আলোকপাত করা হবে।’
বাইডেন আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সকল মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই দেশটিতে তালেবানের হামলা অনেক বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হচ্ছে। দেশটির ৪০টি জেলা দখলে নিয়েছে বলেও দাবি করছে তালেবান।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে আশরাফ গনি ও আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর সফরকে ‘নিস্ফল’ বলে উল্লেখ করেছে তালেবান।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ‘তারা (গনি ও আবদুল্লাহ) তাদের ক্ষমতা ধরে রাখা ও ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।’ তিনি বলেন, ‘এতে আফগানিস্তানের কোনও উপকার হবে না।’
সফর সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট গনির কার্যালয় থেকে এখন পর্যন্ত কোনও বক্তব্য দেয়া হয়নি। তবে একজন জ্যেষ্ঠ আফগান কর্মকর্তা বলেছেন, সেনা প্রত্যাহারের পরও যেন যুক্তরাষ্ট্র আফগান বাহিনীকে সহযোগিতা দেয়া অব্যাহত রাখে তা নিশ্চিত করতে চাইবেন আশরাফ গনি।
তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যকার শান্তি আলোচনার মধ্যেই বাইডেনের সঙ্গে আফগান প্রেসিডেন্টের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কাতারে অনুষ্ঠিত ওই শান্তি আলোচনা তেমন কোনও আলোর মুখ দেখেনি।
কর্মকর্তারা ওই স্থবির আলোচনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, তালেবান এখন পর্যন্ত কোনও লিখিত শান্তি প্রস্তাব জমা দেয়নি যা মূল আলোচনার সূচনাকারী পয়েন্ট হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূত্র : এএফপি, আল জাজিরা